বাদাম-কাঁচা বাদাম(Nut-Raw Nuts)

 কাজু (Cashew Nuts) বাদাম খাবেন ? কাঠ বাদাম নাকি চিনা বাদাম কোনটা খাবেনকাঁচা বাদাম নাকি ভাজা বাদাম খাবেন?

কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম,কাঠ বাদাম নাকি চিনা বাদাম কোনটা খাবেন, কাঁচা বাদাম খাবেন খুব ভালো কিন্তু যদি ভেজে খেতে মন চায় তবে কিভাবে ভাজবেন? তেমন কিছুইনা, জাস্ট ফ্রাইপেনে হালকা আঁচে নেড়া চেড়ে ভেজে নিতে পারেন, খুব কঠিন কিছুই নাভাজার সময় আপনারা চাইলে খাঁটি ঘি,বাটার হাল্কা বিট লবন দিতে পারেন, যদি তা না থাকে তবে ঘানী ভাংগা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। বাদামী রং হলে ঠান্ডা করে কাঁচের বৈয়ামে রেখে দিবেন কাজু বাদামে থাকা ভিটামিনের মাত্রা এতো বেশি যে একে প্রকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন অনেকে।


কাজু বাদাম (Cashew Nuts) কিঃ- এটা একটি কিডনি আকৃতির বীজ যা কাজু গাছ থেকে উৎপন্ন হয় - একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় গাছ যা ব্রাজিলের স্থানীয়, কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন উষ্ণ জলবায়ুতে চাষ হয়হয়তো আপনার আসে পাশেই আছে, খুজলেই পেয়ে যাবেন।


যদিও সাধারণত গাছ বাদাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়, পুষ্টিতে তাদের তুলনায়, কাজু সত্যিই অধিক কার্যকরী বীজ। 

এগুলি পুষ্টিকর এবং উপকারী উদ্ভিদ যৌগগুলিতে সমৃদ্ধ এবং অনেকগুলি খাবারের সঙ্গে সহজে সংযোজন করা যায় 

কাজুবাদাম সাধারণত ভেজেই খাওয়া হয়।যেহেতু কাজুতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে তাই দৈনিক -১০টা কাজু বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট। কাজু বাদামে বিভিন্ন ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক খনিজ উপাদান রয়েছে। এটি দুর্বল ব্যক্তিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া কাজু বাদামে আরও অনেক স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে।

কাজু বাদাম প্রচুর পুষ্টিতে সমৃদ্ধ: এক আউন্স (২৮ গ্রাম), লবনহীন কাজু আপনাকে দিবে

শক্তিঃ ১৫৭ ক্যালোরি

প্রোটিন: গ্রাম 

ফ্যাট: ১২ গ্রাম 

কার্বহাইড্রেট: গ্রাম 

ফাইবার: গ্রাম 

তামা: দৈনিক মান (ডিভি) এর ৬৭

ম্যাগনেসিয়াম: ডিভি এর ২০

ম্যাঙ্গানিজ: ডিভি এর ২০

দস্তা: ডিভির ১৫

ফসফরাস: ডিভি এর ১৩%

আয়রন: ডিভি এর ১১

সেলেনিয়াম: ডিভির ১০%

থিয়ামিন: ১০% ডিভি 

ভিটামিন কে: ডিভির %

ভিটামিন বি : ডিভির %


এবার আসুন জেনে নেই কাজু বাদামের গুণাগুণ-

  কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের শরীরে দৈনিক ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন। আর এটা পূরণ করে এই কাজু বাদাম। কাজু বাদাম মাংসপেশী স্নায়ুর সঠিক কাজ হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

কাজু বাদামে কোলেস্টেরল থাকে না, এবং কাজু বাদাম আছে প্রচুর ভালো ফ্যাট, যা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তাছাড়া কাজু বাদামে অলেইক এসিড থাকে যা ত্বককে রাখে নরম, মসৃণ স্বাস্থ্যকর এবং হার্টের জন্য অনেক উপকারি।

 কাজু বাদাম ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে  প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মাত্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে কাজু বাদামে সোডিয়াম কম থাকে কিন্তু পটাসিয়াম বেশি থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

  কাজু বাদামে সেলেনিয়াম ভিটামিন থাকে। কাজু বাদামে থাকা জিংক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমাদেরকে সুস্থ রাখে। কাজু বাদাম ফ্রি র‌্যাডিকেলের জারণ প্রতিরোধ করে, যার ফলে আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

ঙ। কাজু বাদামে উচ্চমাত্রার কপার থাকে তাই এনজাইমের কাজে, হরমোন উৎপাদনে এবং মস্তিস্কের কাজে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।এছাড়াও লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদনে সাহায্য করে। এক কথায় কাজু বাদাম অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করে।

প্রতিদিন আমাদেরকে এক মুঠো করে কাজু বাদাম গ্রহন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। আসলে এই কাজু বাদামে রয়েছে অতি উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরে নতুন ক্যান্সার সেল তৈরি হতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং অবাঞ্চিত কোন টিউমার যাতে দেখা না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে।

কাজু বাদামে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামে একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কাজু বাদাম চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, কপার হলো সেই খনিজ, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কাজু বাদামে কিভাবে কাজু বাদাম চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে ভুমিকা রাখে? কাজু বাদামে থাকা কপার শরীরের ভেতরের এমন কিছু বিশেষ এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রংকে ধরে রাখতে সাহায্য করে অর্থাৎ আপনাকে রাখে চির তরুন।

কাজু বাদাম খেলে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে- কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এই বাদামটি নিয়মিত খেলে আমাদের দেহের হাড়ের ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে। তাই বুড়ো বয়সে গিয়ে অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো হাড়ের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

তাহলে আসুন আজ থেকে সবাই প্রতিদিন -১০ টি কাজু বাদাম খাই।

সতর্কতা : যাদের কাজু বাদামে অ্যালার্জি মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের কাজু বাদাম না খাওয়াই ভালো। হাইপারটেনশনের রোগীরা লবণাক্ত কাজু বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

============================================================

কাঠ বাদাম (Almonds nuts) কি?

প্রাচীনকালে (তিন হাজার বছর আগে) কাঠবাদাম ফল হিসাবে খ্যাতি ছিল। কাঠবাদামের ফল দেখতে প্রায় অনেকটা চেপ্টা ডিম্বাআকৃতির এবং কাঠের মতো শক্ত খোলসের আবরণ দিয়ে ঢাকা। খোলসের অভ্যন্তরে থাকে বাদামের খাবারের উপোযোগী অংশটি। কাঠ বাদামকে আমন্ড বাদাম বলা হয়ে থাকে।  

  

কাঠ বাদামের খাদ্যমান:

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে রয়েছে

এনার্জি ৫৭৮ কিলোক্যালরি,

কার্বোহাইড্রেট ২০ গ্রাম,

আঁশ ১২ গ্রাম,

ফ্যাট ৫১ গ্রাম,

প্রোটিন ২২ গ্রাম,

থায়ামিন .২৪ মিলিগ্রাম,

রাইবোফ্লেভিন . মিলিগ্রাম,

নিয়াসিন মিলিগ্রাম,

প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড . মিলিগ্রাম,

ভিটামিন বি৬ .১৩ মিলিগ্রাম,

ভিটামিন ২৬.২২ মিলিগ্রাম,

ক্যালসিয়াম ২৪৮ মিলিগ্রাম,

আয়রন মিলিগ্রাম,

ম্যাগনেসিয়াম ২৭৫ মিলিগ্রাম,

ফসফরাস ৪৭৪ মিলিগ্রাম,

পটাশিয়াম ৭২৮ মিলিগ্রাম

 আসুন এবার জেনে নেই কাঠ বাদামের গুণাগুণ-

 কাঠবাদাম অবশ্যই খোসা-সহ খেতে হবে। কারণ এতে আছে বহুমুখী গুণাগুণ। এটা পলিফেনলের ভালো উৎস

১। কাঠবাদাম অনেক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ যা শরীরে নানান কাজে লাগে। হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় রক্তচাপ কমায় কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করেকারণ এটা সার্বিক কোলেস্টেরলেরলো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনকমাতে সাহায্য করে। যা কোলেস্টেরলের খারাপ অংশ। আছে ফাইবার যা হজম স্বাস্থ্য এবং নিয়মিত অন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান এটি রক্তে শর্করার মাত্রা এবং কোলেস্টেরল উন্নত করতে পারে

কাঠ বাদাম আছে কার্বোহাইড্রেট- যার প্রাথমিক কাজগুলির একটি হল আপনার শরীরকে শক্তি সরবরাহ করা আপনার খাওয়া খাবারগুলিতে বেশিরভাগ শর্করা রক্ত প্রবাহে প্রবেশের আগে হজম হয় এবং গ্লুকোজে ভেঙে যায়

এছাড়া কাঠ বাদাম ভালো কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঠ বাদাম ডায়াবেটিস সৃষ্টিকারী হিমোগ্লবিন ওয়ান সিকমায় এবং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকায় কাঠবাদাম খুব ভালো। কারণ কাঠ বাদাম পেট ভরপুর রাখতে সাহায্য করে।

কাঠ বাদাম প্রচুর পরিমানে ভিটামিন , , বি১, বি৬ থাকার ফলে চুলও ভাল রাখে এবং ম্যাগনেশিয়ামের জন্য চুল গোড়া থেকে সুস্থ থাকে খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। হৃদরোগ থেকে রক্ষা করার জন্য উপকারি এবং সুগারের রোগীদের জন্য উপকারি

কাঠ বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ত্বক সুন্দর রাখে আর মুখে বয়সের ছাপ বা বলি রেখা পড়ে না। যাদের ত্বকে সান বার্ন আছে, তারা কাঠ বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।

কাঠ বাদাম তেল খুব তাড়াতাড়ি শরীর শুষে নিতে পারে। তাই যেকোনো মৌসুমে কাঠবাদাম তেল শরীরে লোশনের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন।

কাঠ বাদামে এমন প্রকৃতিক ফাইবার আছে যেটি কোলন ক্যানসার হতে বাধা দেয়। তাছাড়া কাঠ বাদামে ভিটামিন , Phytochemicals এবং flavonoi আছে যেটি ব্রেস্ট ক্যানসার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

কাঠ বাদামে আছে কপার- এটি শরীরের সমস্ত টিস্যুতে পাওয়া যায় এবং লাল রক্তকণিকা তৈরি করতে এবং স্নায়ু কোষ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে কপার ভূমিকা রাখে

কাঠ বাদামে আছে পটাশিয়াম- যা রক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য, হাড়ের শক্তি এবং পেশী মজবুত করে

১০। কাঠ বাদাম পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে- সম্প্রতি ইতালির একদল বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, দৈনিক মাত্র ৭টি কাঠবাদাম খেলে পুরুষদের শরীরে শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুণগতমান উভয়ই বাড়বে বহুগুণ।

তুরিনের এক হাসপাতালে ১০০ জন পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছিল। জরিপে প্রমাণিত হয় দৈনিক মাত্র ৭টি কাঠবাদামে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে বেড়েছে।

১১। রেফ্রিজারেইটরে রাখলে কাঠবাদামের পুষ্টিগুণে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না বরং এটা কাঠবাদামের স্থায়ীত্ব বাড়ায় এবং পুষ্টিগুণ অক্ষত রাখে।

১২। কাঠবাদাম ভাজা হলে তা কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। ভাজার ফলে বাদামের পানির উপস্থিতি কমে যায়। তাই কাঠবাদামের পুষ্টি উপাদান জমাট বাঁধা অবস্থায় থাকে।

১৩। কাঠ বাদামের সবথেকে শক্তিশালী গুণ হল, মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও এটি খুব কার্যকর। ভিটামিন এবং পটাশিয়াম থাকার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে কাঠ বাদাম। যেভাবেই খাওয়া হোক, প্রতিদিন একমুঠ বা কয়েকটা কাঠবাদাম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।

তাহলে আসুন আজ থেকে সবাই প্রতিদিন ০৬-০৮ টি কাজু বাদাম খাই।

 কাঠ বাদামের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Side effects of Almonds nuts)

নির্দিষ্ট পরিমাণে কাঠ বাদাম খেলে যেমন উপকার পাওয়া যাবে ঠিক তেমন অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে এর কিছু সাইড এফেক্ট রয়েছে। যেমন-

অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে

. অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। 

৩। অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণে ওজন বাড়তে পারে

==============================================================


চিনা বাদামের(Peanut) কি কি  উপকারিতাকাঁচা চিনা বাদাম কেন খাবেন?

                                


আমাদের বাজারে অনেক ধরণের বাদাম পাওয়া যায়, তবে সর্বাধিক জনপ্রিয় বাদাম হল চিনাবাদাম (Peanut)  যেহেতু অন্যান্য বাদামের তুলনায় চিনাবাদাম (Peanut) সহজ লভ্য এবং হাটে ঘাটে স্টেশনে পাওয়া যায়, তাই অনেকেই এটিকে খুব একটা বড় করে দেখতে চান নাবাঙালি চিনা বাদাম (Peanut) প্রিয় মানুষ কোন কাজ নেই আসো বাদাম খাই, তাই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ চিনা বাদাম (Peanut) খেতে ভালোবাসে এই চিনা বাদামের (Peanut) পুষ্টিগুণ ও কিন্তু কম নয় সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়, ভাজা চিনা বাদামের পরিবর্তে কাঁচা চিনা বাদাম (Peanut) খাওয়ার কারনে


চিনা বাদামের খাদ্যমান

চিনাবাদাম (Peanut) একটি উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সোডিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ,ফাইবার ভিটামিন-ভিটামিন-বি ,ভিটামিন-সি সহ নানা মাইক্রো পুষ্টি উপাদান।

কাঁচা বাদামের প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে-
এনার্জি= ৫৬৭ কিলো ক্যালরি।
ফ্যাট= ৫০ গ্রাম যার মধ্যে . গ্রাম সেচুরেটেড,
সোডিয়াম= ২২ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেড= ১৬ গ্রাম।
উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন= ২৬ গ্রাম
এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম।

 
চিনা বাদামের উপকারিতা

চিনা বাদামে (Peanut) মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন। তাই এটা আমাদের শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা সব সময় চিনা বাদাম খেতে ভালোবাসে। কিন্তু তারা জানেন না চিনা বাদাম (Peanut) খাওয়ার উপকারিতা যেমন-

.খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।
. উপকারী চর্বির উৎস।
. উচ্চমাত্রার আমিষের উৎস।
. পাকস্থলী ক্যান্সার রোধ করে।
. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
. ত্বক উজ্জ্বল করে।
. চুলের পুষ্টি জোগায়।
. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
. শরীরের ওজন কমায়।
১০. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
১১. হাড়ের ক্ষয় রোগ বন্ধ করে।
১২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ পরে।


এবার দেখুন ভিজা চিনা বাদামের উপকারিতা

যদি আপনি সকালে চিনাবাদাম (Peanut) ভিজিয়ে খালি পেটে খেতে থাকেন তবে আপনার গ্যাস অ্যাসিডিটির কোনও অভিযোগ থাকবে না। চিনাবাদাম (Peanut) পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়ামের মতো বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।

রাতে ১০-১৫ টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী
বাদামের মধ্যে থাকা ট্যানিন হজমে সমস্যা করে ভিজিয়ে রাখলে ট্যানিন চলে যায় তাই বাদাম খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখাই ভালো
কাঁচা বাদামের বাইরের আবরণে সাইটিক এসিড থাকে খাওয়ার আগে বাদাম ভিজিয়ে রাখলে এই সাইটিক এসিড চলে যায়
বাদাম খাওয়ার আগে ভিজিয়ে খেলে কোলন থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এটি পুষ্টির সঠিক শোষণের জন্য ভালো
সাইটিক এসিড মিনারেলের শোষণকে ব্যাহত করে এটি শরীরের মিনারেলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ খাওয়ার আগে বাদাম ভিজিয়ে রাখুন আগেই বলেছি কাঁচা বাদামে সাইটিক এসিড থাকে

 চিনা বাদামের (Peanut)অপকারিতাঃ 
অনেকেরই বাদাম খেলে এলার্জি বাড়তে পারে। সকলের বাদামে এলার্জি দেখা নাও যেতে পারে। যাদের বাদামে এলার্জি রয়েছে তারা বাদাম থেকে দূরে থাকবেন। বাদাম একটি উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার এবং মুখরোচক খাবার। তাই অতিরিক্ত বাদাম খেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে তাই অন্য খাদ্যের সাথে পরিমাপ করে বাদাম অবশ্যই খেতে হবে।
সর্বশেষ কথা

তাহলে আসুন আজ থেকে সবাই প্রতিদিন কিছু কিছু  চিনাবাদাম (Peanut) খাই।

আশা করি আজকের পোস্ট এর সাহায্যে সবাই তিন প্রকার বাদামের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি বাদামের উপকারিতা অপকারিতা পোস্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। যাতে সবাই  বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে।

সাথে থাকার জন্য  ধন্যবাদ।


Comments

Post a Comment